ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হয় অথবা এটির উপকারিতা কি?
ইসবগুলের ভুসি হল ইসবগুলের বীজের খোসা। এটি একটি কার্যকরী খাদ্য যা ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি ভাল উৎস। এটি একটি আঁশযুক্ত উপাদান যা জলে ভিজে গেলে জেলির মতো হয়ে যায়। ইসবগুলের ভুসি প্রায়শই ডায়েটরী ফাইবারের একটি উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হয় বা এটির উপকারিতা কি?
এটি একটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসাবেও কাজ করে, যা মলকে নরম করে এবং মলত্যাগকে সহজ করে তোলে। ইসবগুলের ভুসি খাওয়া সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু লোকের মধ্যে এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ইসবগুলের ভুসি খেলে অনেক সুবিধা হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় বা প্রতিরোধ: ইসবগুলের ভুসি জলের সাথে মিশে একটি জেল তৈরি করে যা অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাবারের গতি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণ: ইসবগুলের ভুসি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং খাবারের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ইসবগুলের ভুসি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এটি রক্তনালীকে প্রশস্ত করে এবং রক্তের প্রবাহকে উন্নত করে।
কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে: ইসবগুলের ভুসি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং কোলেস্টেরল তৈরি হওয়া কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে: ইসবগুলের ভুসি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তচাপ কমাতে, রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যান্য উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে।
ডায়াবেটিস টাইপ ২ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে: ইসবগুলের ভুসি ডায়াবেটিস টাইপ ২ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: ইসবগুলের ভুসি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্ষুধা কমাতে এবং খাবারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের ভুসি কীভাবে খাবেন?
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এটি জল বা অন্য কোনো তরলে মিশিয়ে খেয়ে ফেলা। এটি সালাদে, শস্যের মধ্যে বা অন্যান্য খাবারের সাথেও যোগ করা যেতে পারে।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সময়, প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জেল তৈরি করতে সাহায্য করবে যা অন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজেই চলাচল করতে পারে।
ইসবগুলের ভুসি সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস, ফোলাভাব বা বমি বমি ভাব অনুভব হতে পারে। যদি আপনি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি অনুভব করেন তবে আপনার ডোজ কমাতে হবে বা ভুসি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যাবহার করতে পারেন।